করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিলেটে সন্ধ্যার পর সকল বিপণি বিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগীয় মাল্টিসেক্টরাল কমিটি। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যেখানে বিক্রি হয় সেসব দোকান বন্ধ হবে না। ওষুধপত্রের দোকান ও কাঁচাবাজার যথানিয়মে চলবে।
সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৪টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় সিলেটে আসা প্রবাসীর সংখ্যা বেশি। গত তিন মাসে যারা সিলেট এসেছেন তাদের তালিকা আমরা পেয়েছি। জেলা পর্যায় থেকে আমরা সেটাকে উপজেলা পর্যায়ে ভাগ করেছি এবং সিলেট মহানগর পুলিশের আওতাধীন ৬ থানায় ভাগ করেছি। ৬ থানায় ৬ টি টিম গঠন করা হয়েছে। যে টিমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশের সদস্যরা আছেন। তারা বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। আমরা সিলেট মহানগরের ৬০১ জন প্রবাসীর বাড়িতে গিয়েছি। তাদের অধিকাংশকে ঘরে পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাদের করোনার উপসর্গ আছেন তাদের আইসোলেশনে পাঠাবো এবং যাদের উপসর্গ নেই তাদের ঘরে থাকতে বলেছি। সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) মানে তাকে আলাদা ঘরে থাকতে হবে। এটা নিশ্চিতে আমরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। অনেকেই সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) মানছেন না। বাইরে বের হচ্ছেন। রাস্তার মোড়ে চা খাচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মীর মো. মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আসলাম উদ্দিন, মো. আবুল কালাম, শারমিন ইসলাম, সহকারী কমিশনার এরশাদ মিয়া, উম্মে সালিক রুমাইয়া ও মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ।