পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের ধর্মঘটে রাজধানীতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারেও তৈরি হয়েছে গণপরিবহন সংকট। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে পরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে নিরাপত্তার দাবিতে বাস চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে পরিবহন শ্রমিকরা।
এদিকে গণপরিবহন চলাচল না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। এই সুযোগে মূল ভাড়ার দুই থেকে তিনগুণ বেশি চাইছেন রিকশা-সিএনজি চালকরা।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়দাবাদ ও গুলিস্তান ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ির অপেক্ষায় মানুষের দীর্ঘ জটলা তৈরি হয়েছে। তার সামনেই সারি ধরে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু রিকশা ও সিএনজি। কিন্তু গন্তব্য স্থলে যাওয়ার জন্য তারা যে ভাড়া চাইছেন, তা মূল ভাড়ার দুই থেকে তিনগুণ বেশি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মিথিলা কবির বোনের বাসায় বেড়াতে যাবেন বলে বের হয়েছেন। কোন যানবাহন না পেয়ে রিকশাতেই যাবার জন্য মনস্থির করেছেন। কিন্তু রিকশা যাত্রাবাড়ি থেকে গুলিস্তান যাবার ভাড়া জানতে চাইলে রিকশা চালকের উত্তর সাড়ে তিন'শ টাকা। এরপর আর কিছু বলতে পারলেন না তিনি। সেখানে থেকে সরে এসে আগের জায়গাতেই অপেক্ষা করতে লাগলেন।
তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, "বোনের বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। ভাবলাম যেহেতু গাড়ি নেই, তাই একটা রিকশা নিয়ে আপাতত গুলিস্তান যাই, তারপর দেখা যাবে। কিন্তু ৭০ থেকে ৮০ টাকার ভাড়া চাইছে সাড়ে তিন'শ টাকা। এরপর আর কিইবা বলার আছে।"
মিজান মিয়া নামের এক রিকশা চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত কয়দিন ধইরা আমগো ঈদ চলে। ঈদেও এতো টাকা পাইনা সারাদিনে। ভাড়া একটু বেশি চাইলেই মানুষ রাগ দেখায়। বড় বড় দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতি কইরা দেশটা শেষ করতাছে তাতে দোষ নাই, আর আমরা গরীবরা ভাড়া বেশি চাইলেই দোষ।
রিকশার চেয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে সিএনজি অটোরিকশা। গুলিস্তান থেকে ফার্মগেট যেতে ভাড়া হাকছেন ছয়'শ টাকা। এতো বেশি ভাড়া কেন, জানতে চাইলে সুমন আহমেদ নামের একজন সিএনজি চালক বলেন, আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি বের করছি। কোন ক্ষতি হলে তো কেউ দায় নেবে না। আর আজকে ভাড়া একটু বেশিই।