ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২০ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভিয়েনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে জাতীয় সঙ্গীত সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কারণে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দূতাবাসের স্বল্পসংখ্যক কর্মকর্তা/কর্মচারীর উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদ ও জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক এক আলোচনার সূত্রপাত করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
৩০ লক্ষাধিক শহীদদের আত্মত্যাগ এবং ২ লক্ষাধিক নারীর নির্যাতন ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তিনি বিনম্ভ্র চিত্তে ও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ এবং অর্জনের ওপর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল।
উল্লেখ্য, চলতি বছেরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে; যেটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে সাড়া বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ভিয়েতনামে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে ভিয়েতনাম সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন, ভিয়েতনামের ভাষায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের অনুবাদ এবং ভিয়েতনামে বঙ্গবন্ধু স্বারক ডাক টিকিট প্রকাশ।
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।