যথাযথ মর্যাদায় ও আনন্দ মুখর পরিবেশে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করেন। এসময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এসময় মুজিব বর্ষের প্রেক্ষাপটে গণহত্যা দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসের উপর এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্রদূত আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই সকলকে মহান স্বাধীনতা দিবস ও মুজিব বর্ষের শুভেচ্ছা জানান। এসময় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ ও স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্ভ্রমহারা মা-বোনদের প্রতি অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'সার্বিক মুক্তির মধ্য দিয়ে একটি উদার, উন্নত, অবদানক্ষম, সমতাভিত্তিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। মুজিব বর্ষের এই শুভ-ক্ষণে দাঁড়িয়ে সেই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে আমাদের সম্মিলিত শপথ ও অঙ্গীকারকে আরও শাণিত করতে হবে।'
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর অনুপম মহৎ আদর্শকে বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অদম্য উন্নয়ন যাত্রায় শামিল হতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি আরো বলেন, 'বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত যুগান্তকারী এবং যুগোপযোগী যে ব্যবস্থাপনা দরকার সে বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। দেশের স্বার্থে আমাদের এ দিকনির্দেশনা মেনে চলা উচিত। এছাড়া, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে গড়ে তোলার জন্য আজ যেটি বেশি প্রয়োজন তা হলো সহমর্মিতা ও সচেতনতা। আমরা প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই-বোনদের খোজ-খবর রাখছি। আশা করছি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এ বিপর্যয় থেকে বের হয়ে আসতে পারব।
আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।