কুমিল্লায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করা নিয়ে সংঘর্ষে আহত আবদুল মতিন (৬১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার রাতে নগরীর সংরাইশ শিশু উদ্যান এলাকায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করা নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মতিন, মতিনের ছেলে ও ভাতিজাসহ দু'পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। নিহত আবদুল মতিন ওই এলাকার মৃত মনা মিয়ার ছেলে। তিনি নগরীর চকবাজারে চালের ব্যবসা করতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনারুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, হামলার পর আহত অবস্থায় আবদুল মতিনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সংরাইশ এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে আলামিন এই হামলার সঙ্গে জড়িত। এক নারীকে ইভটিজিং করায় আলামিন ও তার বন্ধুকে বাধা দেয় নিহত মতিনের ভাতিজা। বাধা দেওয়ার ঘটনার সূত্র ধরে আলামিন ও তার সহযোগীরা মতিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের মারধর শুরু করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।