চৈত্র মাসের প্রথম দিকে মেঘ-বৃষ্টিতে দেশে কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। একই সঙ্গে বেড়েছে রোদের প্রখরতাও।
এদিকে বর্তমানে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস যেন একটি আতঙ্কের নাম। এ থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশও। তবে অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা কম। গরমে নাকি করোনা সংক্রমণ বিস্তার করতে পারে না বলে দাবি কিছু চিকিৎসকের। তাই এই গরম আবহাওয়াতে দেশবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আর মাত্র কয়েকদিন পর বৈশাখ মাস শুরু হবে। এ সময় টানা বৃষ্টি না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যেকোনো সময় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বজ্রপাতও হতে পারে। এছাড়া ধীরে ধীরে দেশে গরম আরও বাড়তে থাকবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরও জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করলেও রোদ ওঠার পরপর গরম বাড়তে থাকে। আকাশও বেশ পরিষ্কার রয়েছে।
দেশে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চাঁদপুরে ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া অন্য অঞ্চলগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ফরিদপুরে ৩৭ দশমিক ২, মাদারীপুরে ৩৬ দশমিক ১, গোপালগঞ্জে ৩৬ দশমিক ১, রাঙ্গামাটিতে ৩৭ দশমিক ২, চাঁদপুরে ৩৭ দশমিক ৫, নোয়াখালীতে ৩৬ দশমিক ৩, ফেনীতে ৩৬ দশমিক ৩, হাতিয়ায় ৩৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৩৬ ডিগ্রি, মংলায় ৩৭ দশমিক ৩, যশোরে ৩৬ দশমিক ৪ এবং চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, আরও কয়েকদিন দেশের কয়েকটি স্থানের উপর দিয়ে তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে। আর কয়েকদিন পরই গ্রীষ্মকাল। সে সময় প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। সামনে আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এখন বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকবে। তবে যেকোনো সময় ঝড়ো হাওয়াসহ সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।’