মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ে। তবে দুপুর থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা রয়েছে। মাঝে মাঝে ঠান্ডা বাতাসও বয়ে যাচ্ছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে রোদ থাকলেও বিকেল ৪টার পর আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। বজ্রসহ ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে সামান্য বৃষ্টি হয়। বেশকিছুক্ষণ পর থেমে যায়। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। একইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। ১৫ মিনিটের তাণ্ডবে আমের গুটি ঝরে পড়ে। কয়েকদিনের গরমের পর এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে নগরজীবনে। এদিন রাত থেকে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী রোববার সন্ধ্যার পর বৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটি আরও প্রশমিত হতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।