কয়েকটি দেশ প্রবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য চিঠি দিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন রোববার (৫ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই দুর্দিনে কয়জনকে ফেরত আনব তা নিয়ে আমরা আজ বসেছি। বুঝে শুনে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে বলব, আমাদের অসুবিধা, তোমাদেরও অসুবিধা। মানবাধিকার বিষয়টি সামনে এনে এদের তোমরা সাহায্যে করেছ, সাহায্যে আরও কর। তাহলে আমরা খুশি হব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব বেশি দেশ প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে আবেদন করেনি। মাত্র চার পাঁচটি দেশ আবেদন করেছে। কিন্তু আপনি জানেনতো আমাদের সংখ্যাতো অনেক বেশি। একটি দেশও যদি হয় অনেক লোক হয়ে যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সংখ্যার দিক থেকে বেশি দেশ এ আবেদন না করলেও সমস্যা হচ্ছে এদের মধ্যে যে কোনো একটিতেই প্রবাসী রয়েছে প্রচুর। এখনই সব দেশের নাম বলতে চাচ্ছি না। কত বাংলাদেশি ফেরত পাঠাতে চায় এখনই সংখ্যা জানাতে চাই না। তবে একটি দেশের কথা বলতে পারি। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন।
তিনি বলেছেন, তার দেশে বিপুল বাংলাদেশি কর্মী আনডকুমেন্টেড। এখন যেহেতু তাদের পর্যটন বা রেস্টুরেন্টে কাজ করছে না তাই শুধু বৈধদের তারা সাহায্যে করছে। কিন্তু যারা আনডকুমেন্টেড আছে তাদের কষ্ট হচ্ছে। মালদ্বীপ সেখানে বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন করতে বলেছে। এদের মধ্যে অনেককেই ফেরত পাঠাতে পারে। যে সব দেশ আমাদের জানিয়েছে বাংলাদেশিদের ফেরত না নিলে তাদের অসুবিধায় ফেলবে তাদের কেসটাই আমরা প্রথমে ধরব। মূলত এসব আনডকুমেন্টেড কর্মীর জন্যই হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চাপের মুখে আছি। তবে সব দেশই চাপের মধ্যে আছে। সে জন্য এটি বড় সমস্যা নয় কিন্তু কঠিন সময়ে আছি।