রোহিঙ্গা নিয়ে চলমান সঙ্কট কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো এবং মিয়ানমারের স্ট্যাট কাউন্সিলর অং সান সুচি আলোচনা করেছেন।
মিয়ানমার সফররত জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার (৬ আগস্ট) সুচির সঙ্গে এ আলোচনা করেন।
আলোচনা শেষে রাজধানী নেপোডিতে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে কোনো বলেন, এক ঘণ্টার বৈঠকে রোহিঙ্গা নিয়ে একটি নতুন প্রতিষ্ঠিত কমিশনকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মুক্ত এবং স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছি।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ঢাকা আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে মিয়ানমার হয়ে ঢাকা আসছেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়ে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকে বসবেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা সংকট রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। মিয়ানমার ঘোষণা করেছে, পশ্চিম মায়ানমারের রাজ্যের অভিযোগে তদন্তের জন্য সাবেক ফিলিপাইন ও জাপানি কূটনীতিকদের সমন্বয়ে একটি চার সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে, যেখানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে সেনাবাহিনী অভিযুক্ত হয়েছে।
কোনো সাংবাদিকদের জানান, তিনি মিয়ানমার সরকারকে উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য জাতিসংঘের সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মায়ানমার সরকারকে এই বিষয়ে তদন্তের জন্য সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন যেমন তদন্ত কমিশন গঠন এবং জাতিসংঘের সহযোগিতায়, গণতন্ত্রের সফল রূপান্তরের জন্য রাখাইনের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো বলেন, জাপান সরকার মিয়ানমারের জনগণের সাথে হাত মেলাতে এবং সুচির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে সহায়তা করবে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সোমবার সকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।