জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ শুধু জাতির পিতার খুনে অংশগ্রহণ করেনি। এই খুনি জেল হত্যাতেও অংশগ্রহণ করে।
তবে তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার পুরস্কার হিসেবে তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আমরা এই খুনির রায় কার্যকর করব।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যে সকল দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার অপেক্ষায় ছিলাম। তারই একজন ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ।
আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল, তার স্ত্রী সালেহা বেগম, বাড়ি নম্বর ১০/এ রোড নম্বর ১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকায় থাকেন। তিনি সেখানেই আছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যাতে অংশগ্রহণ করেনি। তিনি জেল হত্যায়ও অংশগ্রহণ করেছিল। খুনের পরে জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক সে বঙ্গভবন ও দূতাবাসসহ অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান সরকার তাদেরকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারব।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অঙ্গীকার যে সকল খুনিরা দেশের বাইরে আছে। তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করবো।