মানবতার ডাকে ভয়কে জয় আর মনে সাহস নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ সারাদেশে জীবাণুনাশক স্প্রে, প্রচার-প্রচারণা ও সামাজিক-শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
গত ৩০ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ৪,৩৮১ জন (পুরুষ ৩৬২১ জন ও মহিলা ৭৬০) স্বেচ্ছাসেবক চলমান এই জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রমে অংশ নেয়।
বুধবার (৮ এপ্রিল) সোসাইটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাতীয় সদর দফতরের তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলায় ৬৮টি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভর্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত সরাসরি এই কার্যক্রম তদারকি করছেন।
প্রতিদিন সারাদেশে ২ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাজধানীর ৮টি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালসহ সারাদেশের মেডিকেল কলেজ, জেলা সদর হাসপাতাল, স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে জীবাণুমুক্ত করতে জীবাণুনাশক স্প্রে করছে। এছাড়াও, রাজধানীর বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে দেশের বেশিরভাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, ট্রেন, বাস স্টেশনে লোকসমাগম বেশি হয় এমন স্থান, হাট-বাজারেও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
জীবাণুনাশক স্প্রে কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকরা নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়।
জীবাণুনাশক কার্যক্রম শুরুর আগে স্বেচ্ছাসেবকদের সরাসরি ও অনলাইনে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নিয়মিত ফেইসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রতিদিনই যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের ও সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবকদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও, জীবাণুনাশক স্প্রে কার্যক্রম বিষয়ে ফেইসবুক লাইভে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও পরামর্শ দেন।