ঢাকা: আগের দিন রাত ৯টায় লাইনে দাঁড়িয়েছেন জুই বিনতে আব্বাস। লাইনের একদম সামনে। ১১ ঘণ্টার পর সকাল ৮টায় প্রথম টিকিটটি তার হাতে আসে। কিন্তু টিকিট পেলেও মিলল না এসি চেয়ার। শোভন চেয়ার থেকে প্রথম টিকিট দেয়া শুরু হয়। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে কাঙ্খিত টিকিট না পাওয়ার বেদনা নিয়ে স্টেশন ছাড়লেন জুই।
বুধবার (৮ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনে শুরু হয়েছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি।
জুই চেয়েছিলেন রংপুর এক্সপ্রেসের এসি টিকিট। বরাবরের মতো এসি টিকিটে 'হাই প্রোফাইল' চাহিদা বেশি। ভিআইপি কোটায় বেশির ভাগ চাহিদা থাকে এসি চেয়ারের। এসব কারণে জুইয়ের মতো অনেকেই দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও এসি চেয়ারের টিকিট পান নি। ফলে এই টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীর কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
হামিদ নামে এক যাত্রী বলেন, বয়স্ক বাবা মা নিয়ে রংপুরে যাব। এজন্য গতকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু এসি পেলাম না। মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আমরা যারা লাইনের প্রথমে ছিলাম তাদের অন্তত এসির টিকিট পাওয়ার কথা ছিল।
কমলাপুর রেল স্টেশনে দেখা যায়, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটে তাদের শোভন চেয়ার থেকেই টিকিট দেওয়া শুরু হয়। রেলস্টেশনের টিকিট বিতরণের ২৬ টি কাউন্টারের মধ্যে তিন চারটি ছাড়া সব কাউন্টার থেকে এমন অভিযোগ আসে।
বাস্তবতা জানিয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ১৭ তারিখের ২৩ হাজার ৫৩৬ টি টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ২৫ ভাগ মোবাইল ও অনলাইন, ৫ ভাগ ভিআইপি, ৫ ভাগ রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী আর বাকি টিকিটগুলো কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানোদের মধ্যে বিক্রি করা হয়। এ অবস্থায় ২৬ টি কাউন্টারে মোবাইল অনলাইন মিলিয়ে অনেকেই কাঙ্খিত টিকিট নাও পেতে পারেন।
রেল ভবনের তথ্য মতে, ঈদে রেলে ৩ লাখ যাত্রী দিনে যাতায়াত করবেন। নয় জোড়া বিশেষ ট্রেন যুক্ত হবে। ঈদের সময়ে ১ হাজার ৪০২টি কোচ চলাচল করবে এব ২২৯ জন লোকোমোটিভ দিয়ে চলবে এসব কোচ।
ছবি: সুমন শেখ