ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়ে প্রতিপক্ষের আনন্দ মিছিলের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ এপ্রিল) দুপুর থেকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানায় পুলিশ।
আটকদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রধান দুই হোতা উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লা রয়েছেন। আবু কাউসার মোল্লাকে রোববার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার বায়েক ও অপর পক্ষের জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে ঢাকার কলাবাগান এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তবে বাকি আটককৃতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার থানাকান্দি গ্রামের সর্দার আবু কাউসার মোল্লার বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে রোববার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে কাটা পা নিয়ে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকরা। ওই মিছিল থেকে পায়ের বদলে মাথা কেটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের ধরার বিষয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪২ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।