ধর্ষণের পর ছাদ থেকে ফেলে কিশোরীকে হত্যা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-08-26 04:11:38

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের মধ্যপাড়া থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় লুভনা আক্তার রুপা (১৫) হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই কিশোরীকে।

বিষয়টি উদঘাটন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের মধ্যপাড়া এলাকার নির্মল করের বাড়ির সামনে থেকে লুভনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লুভনা জেলা শহরের কাজীপাড়া দরগামহল্লার মুসলিম মিয়ার মেয়ে।

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রানা কর (৩০) ও নুপুর বসাক (৩২) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দুই জনের বাড়ি মধ্যপাড়া এলাকার বসাকপাড়া মহল্লায়। নিহত লুভনার সঙ্গে নুপুরের পূর্বপরিচয় ছিল।

সোমবার রাতে মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, হতার ঘটনাটি জানার পর সকালে থেকে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করি। প্রথমে নিহত কিশোরীর পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের লোকজন এসে লুভনার মরদেহ শনাক্ত করে। মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো থাকলেও আমরা নিশ্চিত ছিলাম এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছিল দূরে থেকে এনে এখানে ফেলে যাওয়া হয়নি। যারাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তারা আশপাশেরই হতে পারে। এ কারণে প্রথমেই আশপাশের ঘরগুলোকে নজরদারিতে রাখি।

বার্তা২৪.কমকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, প্রথমে আমরা সন্দেহভাজন হিসেবে রানাকে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। রোববার রাতে নুপুর ফোন করে লুভনাকে রানার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর রাত দেড়টার দিকে পাশের বাসার একটি ছাদে নিয়ে তারা লুভনাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। প্রমাণ মুছে ফেলতে লুভনার মোবাইল ফোনটি ভেঙে বাড়ির পাশের একটি ড্রেনের পানিতে ফেলে দেয় ধর্ষকরা।

মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, রানা ও নুপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত এখনও চলমান। তবে ধর্ষণের পর লুভনাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে রানা ও নুপুর দুজনেই।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মধ্যপাড়া এলাকার বসাকপাড়া মহল্লার রানার বাড়ির পাশের একটি বাড়ির সামনে থেকে লুভনার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পরপরই নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রানাকে আটক করে পুলিশ। এরপর রানার দেওয়া তথ্যমতে দুপুরে একই এলাকার অন্য একটি বাড়ি থেকে নুপুরকেও আটক করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর