দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য জাতিসংঘ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ কয়েকটি দেশকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার( ৮ আগস্ট) সন্ধায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রী সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের অনেকের উপর আক্রমণ হলো কিন্তু কোন মিডয়ায় দেখলাম না। উল্টো অপপ্রচার হলো, আমরাই আক্রমণকারী। সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে এমন খবর ছাপা হয়েছ।
'আমি তো বলেছি সাংবাদিকের উপর ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে এমন তথ্য প্রমাণ পেলে আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব, আইনগত ব্যবস্থা নিব।'
'প্লিজ তথ্য প্রমাণ ছাড়া অপবাদ দিবেন না। অপপ্রচার করবেন না। আমাদের পার্টি কোন অন্যায়কারীকে ক্ষমা করে না। আমি অনুরোধ করবো প্লিজ ঢালাও ভাবে অপবাদ দিবেন না, সাংবাদিকদের বলছি। '
যদি কোন অভিযোগ থাকে সুনিদিষ্ট ভাবে নাম ডাক দিয়ে প্রকাশ করুন আমরা ব্যবস্থা নিব।'
এ সময় বিদেশিদের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, 'এই কোমলমতি আন্দোলনে বিএনপি এবং তাদের উগ্র সাম্পদায়িক দোসরবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসী রূপ দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অপপ্রচার করে আজ আমাদের অর্জন উন্নয়নকে কালিমা লিপ্ত যারা করতে চায়, দেশের মানুষ তাদের কথা শুনছে না। তাই তারা বিদেশিদের কাছে অপপ্রচার করছে, নালিশ করছে। এর জন্য সারা দেশের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, জাতিসঙ্গের কাছে ছাত্রলীগের নামে নালিশ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নালিশ, কানাডার কাছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নালিশ। অথচ এই কানাডার আদালতে বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে রায় দিয়েছে।
'আমরা জাতিসংঘকে জানিয়ে দিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছি ক্যনাডাকে জানিয়ে দিয়েছি, ইউরোপিয় ইউনিয়নকে জানিয়ে দিয়েছি অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। সত্য অনুসন্ধান করুন সত্য উদঘাটন করুণ অহেতুক অনাবশ্যক আমাদের উপর অপবাদ চাপাবেন না।'
দেশে সরকারের বিরুদ্ধে নিরব বিপ্লব ঘটবে বিএনপির এমন অভিযোগের কথা তুলে ধরে কাদের বলেন, 'কবে ঘটবে? কখন ঘটবে? কারা ঘটাবে? জনগন না বিএনপির নেতারা? যারা নয় বছরে নয় মিনিটও রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে পারে নি, আন্দোলন করতে পারে নি।
'আন্দোলনের ডাক দিয়ে বড়বড় নেতারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে শুয়ে শুয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। নেতারা না নামলে কর্মীরা মাঠে নামে না। আর মোবাইল ফোনে খবর নেয় পুলিশের গতিবিধি কোথায় কেমন, যাদের সক্ষমতা নেই তারা কতবার যে নিরব বিপ্লব ঘটালো।'
তিনি আরও বলেন, আর কবে, দু-মাস পরেই তো ইলেকশনের সিডিউল ঘোষণা হবে। এতদিন পারলেন না এখন আর কবে নিরব বিপ্লব ঘটাবেন? আন্দোলনের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসবে না। আপনাদের আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জন গর্জনের ডাক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত কুমার দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছালীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।