সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিলেও উসকানিদাতা ও সহিংসতা অংশ গ্রহণকারীদের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৯আগস্ট) ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
জয় বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন শেষ। এই আন্দোলনের শুরুর দিকেই আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার সব দাবি মেনে নেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা দেন ও শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন ঘরে ফেরার, কারণ তাদের আন্দোলন সফল হয়েছে।’
সরকার শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিলেও ‘বিএনপি ও ১/১১ কুশীলবসহ কিছু চিহ্নিত সুশীল সমাজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কুনজর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, সরকার সব দাবি মেনে নিলেও বিএনপি সহ ১/১১'র মিলিটারি ক্যু'র কুশীলব, কিছু চিহ্নিত সুশীল সমাজের এই আন্দোলনের দিকে কুনজর পরে।’
‘তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে উসকে দিতে থাকেন আন্দোলন চালিয়ে যেতে। ক্রমশই আন্দোলনটি সহিংসতার দিকে যেতে থাকে। প্রাইভেট গাড়ি ভাঙা হয়, পোড়ানো হয় বাস এমনকি মোটরসাইকেলও জ্বালানো হয়।’
তিনি বলেন, পর্দার পেছনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে অপপ্রচার চালাতে থাকে বিরোধী দলগুলো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া। পুলিশ এর উপর আঘাত আসে, আক্রমণ করা হয় বর্ডার-গার্ড দেরও।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই অভিনেত্রী নওশাবার ভিডিওটি দেখেছি, যেটি উনি নিজেই ভুয়া হিসেবে মিডিয়ার কাছে স্বীকার করেছেন। শহিদুল আলম শুধু এমন গুজবই ছড়াননি, ছড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে। ৭১ এর রাজাকারদের মতনই এখনো নিজ স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার মতন অনেক মানুষই আছে।’
যারা গত কয়েকদিন সহিংসতায় অংশ নিয়েছে তাদের বিচার হবেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু সহিংসতা উস্কে দেয়া ও অন্যের ক্ষতি করা বাকস্বাধীনতা না। এর জবাবদিহিতা ও বিচার থাকতে হবে, নাহলে বার বার একই কাণ্ডে ঘটতেই থাকবে। তাই, যারা গত কয়েকদিন সহিংসতায় অংশ নিয়েছে, তাদের বিচার হবেই।’
জনগণের স্বার্থেই অরাজকতা ও সহিংসতার জবাব দিতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে আছে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা, যখন ১০০ এর অধিক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান ও হাজার হাজার মানুষ আহত হন।’