বান্দরবান: ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। বাঙালি ছাড়াও বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ৪৫টিরও বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য ৯ আগস্টকে ‘আদিবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ।
তবে আদিবাসীদের অধিকার আর জীবনমান রক্ষার পাশাপাশি সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এখনো সংগ্রাম করে যাচ্ছে পার্বত্য এলাকার বাসিন্দারা।
জানা যায়, ঔপনিবেশিক সময়ে শতাব্দীকাল ধরে বৈষম্য-নিপীড়ন ও জাতিগত আগ্রাসনে ৭০টি দেশে প্রায় ৪০ কোটি আদিবাসীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। বিলুপ্ত হয়ে যায় কোনো কোনো আদিবাসীর অস্তিত্ব। এ কারণে আদিবাসীদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালে আদিবাসী বর্ষ ও ১৯৯৪ সালে ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
কিন্তু সমতলসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের এখনো মেলেনি সাংবিধানিক স্বীকৃতি। অন্যদিকে আদিবাসী জনগণকে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলা হয়েছে। আর এতে পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসীদের মধ্যে এখনো বিরাজ করছে উদ্বেগ আর আতঙ্ক।
এদিকে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং সাংবিধানিকভাবে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য প্রতি বছরের মতো এবারও বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন পরিষদ ২০১৮ এর সদস্য সচিব অং জাই উই চাক জানান, পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রত্যাশা সাংবিধানিকভাবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শব্দটি বাদ দিয়ে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এতেই আদিবাসীদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।