ঢাকা: রাজধানীসহ সকল এলাকায় নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময় পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগের দুই মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলা দুটি বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- রিসালাতুন ফেরদৌস, রেদোয়ান আহম্মেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, সামাদ মর্তুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৪ জন বাড্ডা থানার এবং শেষের ৮ জন ভাটারা থানার মামলার আসামি। আর এরা বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থসাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাড্ডা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া ও ভাটারা থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান মাসুদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এদিন আসামির পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ কয়েকজন আইনজীবী। আর ওই দুই আসামি রেদোয়ান ও তরিকুলের জামিন শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করার আবেদন করেন।
এদিকে রাষ্ট্র পক্ষ জামিনের বিরোধী করে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ২২ আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।