নরসিংদীতে চাঁদা না পেয়ে মাছের খামারে হামলা, ক্ষয়ক্ষতি ৫ লক্ষাধিক

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী | 2023-08-24 00:18:46

নরসিংদীতে চাঁদা না পাওয়ায় একটি মাছের খামারে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় খামারে ব্যবহৃত জাল, নৌকা, পাহারার ঘর, অফিস ঘর ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দি গ্রামে।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে শীলমান্দী ইউনিয়নের সোনালী মৎস্য খামার নামে মাছের খামারে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মাছের খামারের মালিক মধ্য শীলমান্দি এলাকার আঃ ছালামের ছেলে আল মামুন বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের আঃ হেকিমের পুত্র সোহরাব মিয়া, একই গ্রামের আঃ ছাত্তার, রেজাউল, মমিন, মোহাম্মদ আলী, ইয়াছিন, ইসমাইল, তাজু মিয়া ও কারুল মিস্ত্রী।

অভিযোগের সূত্র ও খামারের মালিক মামুন এর কাছ থেকে জানা যায়, শীলমান্দী বিলপাড় এলাকায় দক্ষিণ শীলমান্দী গ্রামের সুন্দর আলী মেম্বারের পরিবারের কাছ থেকে ১শত বিঘা জমির ওপর বিল (সোনালি মৎস্য খামারের পুকুর) ভাড়া নিয়া দেড় বৎসর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন আল মামুন। এরই মধ্যে সোহরাব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আল মামুনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে সোহরাব ও তার বাহিনী খামারে গিয়ে খামারের ম্যানেজার মোঃ কবির হোসেনসহ কর্মচারীদের খামার ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।

এতে খামারের লোকজন পিছপা না হওয়ায় এর পরদিন শুক্রবার বেলা দুপুরে সোহরাব ও তার সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাছের খামারে হামলা চালায়। এসময় সেখানে তিনটি পাহারার ঘর, ৩৫টি মাছ ধরার জাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খামারে ব্যবহৃত ৮টি ডিঙ্গি নৌকা নষ্ট করাসহ জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে ওই খামারের প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন মামুন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সোহরাবের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন সোহরাবের ফোন নাম্বার দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন সোহরাব এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

ঘটনার বিষয়ে নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সৈয়দুজ্জামান জানান, শীলমান্দিতে এমন একটি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সেখানে সুমন নামে এক পুলিশ সদস্যকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এখন করোনার কারণে বিষয়টিতে খুব বেশি সময় দিতে পারছি না। তবে সঠিক তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর