কুমিল্লা জেলার ১৭ উপজেলার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে।
এর আগে কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় অন্য দুটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছিল। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কুমেক হাসপাতালেই হচ্ছে করোনার চিকিৎসা।
এজন্য আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি করোনা রোগীদের চিকিৎসার উপযোগী করে প্রস্তুত করা হবে। এরপর কুমেক হাসপাতালে শুধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কুমেক হাসপাতালে কুমিল্লার সকল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। এজন্য কয়েকটি চিকিৎসক টিমও প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি দলে দুজন করে চিকিৎসক, দুজন নার্স, একজন আয়া/ওয়ার্ড বয় এবং একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী থাকবেন। এই হাসপাতালে অন্য কোনো রোগী করোনার এই সময়ে দেখা হবে না। দুই সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটি পুরোপুরি করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত হবে।
এদিকে, করোনাকালে কুমিল্লার ১৭ উপজেলার অন্যান্য রোগীদের সেবা দেওয়া হবে জেলার অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পূর্বে দুটি হাসপাতাল প্রস্তুত করেছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে একটি হলো কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকার ফোর্টিস হাসপাতাল। এই হাসপাতালে ৩৮টি শয্যা ও ১২টি আইসিইউ রয়েছে। আর অপরটি হলো কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তবে ৫০ শয্যার এই হাসপাতাল কোন আইসিইউ নেই।
সোমবার (২০ এপ্রিল) এক জরুরি সভা করে আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।