পোশাক কারখানায় লেঅফ ও ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির উদ্যোগে অনলাইনে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় দুই দিনব্যাপী এ প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ হয়।
নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে এই অনলাইন প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।
এতে ‘ছাঁটাই-লেঅফ না, পূর্ণ বেতন চাই’’ এবং No Terminations No Layoffs No Alms. We want 100% Wage— এই দাবি নিয়ে নিজ নিজ ছবি তুলে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেন।
গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা নিজ নিজ দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদ জুলহাস নাইন বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শামা।
এরপর সাভার আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীর মিরপুর এবং চট্টগ্রামের পোশাক শ্রমিকরা ‘ছাঁটাই লেঅফ না, ভিক্ষা না, পূর্ণ বেতন চাই’ এই দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেণ।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন মানবাধিকার সংগঠক শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের সমন্বয়ক হামিদা হোসন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নৃবিজ্ঞানী ও লেখক রেহনুমা আহমেদ, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেউতি সাবুর, ব্রাকের শিক্ষক শেহজাদ আরেফীন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সম্পাদক আবুল হাসান রুবেল, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফাসহ আরো অনেকে।
গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার অনলাইন কর্মসূচির শেষে জানান, করোনা দুর্যোগের সময় শ্রমিকদের জীবন বিপর্যস্ত। এই সময়ে মাঠের কর্মসূচি করা না যাওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে যখন করোনা আতঙ্ক তখন প্রায় অধিকাংশ কারখানা লেঅফ হওয়া এবং হাজার হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়ে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আনা শ্রমিকদের বিপদের দিনে ছুড়ে ফেলে না দিয়ে মালিক ও সরকারের কাজ শ্রমিকদের দায়িত্ব নেওয়া।