গাজীপুরের শ্রীপুরে মা, দুই মেয়ে ও এক প্রতিবন্ধী শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করতে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার আবদার গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল।
নিহতরা হলো- ময়মনসিংহের পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী কাজলের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৪০), তার বড় মেয়ে নুরা (১৪), ছোট মেয়ে হাওরিন (১১) ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৬)।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) তারেক হাসান বাচ্চু জানান, প্রায় ২০ বছর আগে ইন্দোনেশিয়া থাকার সময় ওই দেশের নাগরিক ফাতেমা আক্তারকে বিয়ে করে দেশে নিয়ে আসেন কাজল। প্রায় ১৫ বছর আগে শ্রীপুরের আবদার গ্রামের আব্দুল আউয়াল কলেজের পশ্চিম পাশে জমি কিনে দুতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। সংসারের স্বচ্ছলতার জন্য স্ত্রী-সন্তানদের এই বাড়িতে রেখে বেশ কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়াতে রয়েছেন তিনি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, অনেক বেলা হলেও তাদের ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে বিকেলে প্রবাসীর ছোট ভাই আরিফ ওই বাড়িতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। গত রাতের কোনও এক সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। প্রতিবেশীরা কোনও চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ পায়নি।
শ্রীপুর থানার এসআই এখলাস উদ্দীন ফরাজি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ভবনের উপরের তলার একটি কক্ষের খাটের ওপর দুই সন্তানের এবং মেঝেতে এক সন্তান ও মায়ের মরদেহ পড়ে ছিলো।
নিহতদের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গভীর ভাবে কাটা, মুখ ও মাথা থেঁতলানো রয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাদের হত্যার পর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘটনাস্থল অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ক্রাইমসিনে গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার রয়েছেন। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল এসে মরদেহগুলো উদ্ধার ও আলামত সংগ্রহের কাজ করবে। তদন্তের পরই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে।