পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের জেলে ও দুস্থদের জন্য বরাদ্দ একশ ৪১ মেট্রিকটন চাল নির্ধারিত সময়ে বিতরণ না করে সরকারি খাদ্য গুদামে মজুদ রাখায় পাঁচ চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন এ নোটিশ প্রদান করেন।
পাঁচ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা হলেন- নাজিরপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিম ফারুক, কালাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ কে এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লা, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা, সূর্যমনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
উপ সচিব হেমায়েত উদ্দিন জানান, নির্ধারিত সময়ে কেন এসব চাল বিতরণ করা হয়নি তা আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম কালাইয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে যান, এ সময় গুদামে চাল মজুত থাকার বিষয়টি তার নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা প্রাশাসকের কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের কাছে জবাব চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়।
কালাইয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, চালগুলো ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের, নিয়ম অনুযায়ী চালগুলো নির্ধারিত সময়ে বিতরণ করার কথা। কিন্তু চেয়ারম্যানরা খাদ্য গুদাম থেকে চাল ছাড়িয়ে না নিলে কী করার আছে।’