সিলেট: প্রতিশোধ নিতেই খুন করা হয় ছাত্রদল নেতা ফয়জুল হক রাজুকে (২৬)। নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের ক্যাডারদের হামলায় নিহত হন রাজু। তার পরিবারে এখন শোকের মাতম চলছে।
রোববার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজুর গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার উপজেলার শাহপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হবে। রাজু সিলেট ল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। চাচা জেলা যুবলীগ নেতা দবির মিয়ার সঙ্গে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহরে বসবাস করতেন। রাজু মহানগর ছাত্রদলের সাবেক কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক ছিলেন। আরফিুল হক চৌধুরীর বিজয় মিছিল থেকে বাসায় ফেরার পথে খুন হন এই ছাত্রদল নেতা।
চলতি বছরের ১৩ জুন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল ছাত্রদলের বিদ্রোহী একটি গ্রুপ। রাজু ছিল এই গ্রুপেরইকর্মী। গত ৯ জুলাই আরিফুল হক চৌধুরীর প্রচারণায় সিলেট এসে ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের বাধার মুখে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ। ওই দিন ছাত্রদলের বিদ্রোহীরা ঘোষিত বর্তমান কমিটির দুই কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে মূলত শনিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে রাজুকে খুন করা হয়। আহত হন তার দুই বন্ধু উজ্জ্বল ও মুস্তাফিজ।
এদিকে রাজুর হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার রাত থেকে মিছিল সমাবেশ করছেন তার সহকর্মীরা। হাসপাতাল চত্বরেও তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। বর্তমানে রাজুর লাশের সুরতহাল সম্পন্ন হয়েছে।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত শেষ হলে রাজুর প্রথম জানাজা বিকেলে নগরীর শাহজালাল উপশহরে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজ নগরে নিয়ে যাওয়া হবে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এখনো ময়নাতদন্ত চলছে। এরপর লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ।’
ওসি জানান, নিজেদের দলীয় কোন্দলের জেরে খুন হয়েছেন রাজু। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।
আরফিুল হক চৌধুরী রাজুর লাশ দেখতে গিয়ে গণমাধ্যমকে জানান, অপরাধী যেই হোক না কেন তার কোনো ক্ষমা নেই। তিনি পুলিশকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।