রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার। পাশাপাশি, প্রত্যাবাসনের পর রাখাইনে রোহিঙ্গাদের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করছে দেশটির সরকার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সোমবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,সামগ্রিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হয়েছে। সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার। তবে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় এবং কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন না করায় এখনই প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরের প্রস্ততি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে ভাসানচরকে বসবাসের উপযোগি করা হচ্ছে। খুব কম সময়ে বিশ্ববাসিকে আমরা এ বিষয়ে জানাব। এক লাখ রোহিঙ্গা সেখানে বসবাস করতে পারবে।
তিনি বলেন, পুকুর, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ তারা যেনো সেখানে মাছ চাষ, হাস মুরগি পালন করতে পারে সেই ব্যাবস্থা রাখা হচ্ছে। ভাসান চরে জীবিকার জন্য সকল আয়োজন রাখা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা যদি মিয়ানমার চলে যায় চাইলে সেখানে আমাদের লোকজনেরাও থাকতে পারবে।