রংপুর: কোচিং থেকে ছাত্রাবাসে ফেরার পথে বাসচাপায় রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ জিয়ন নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালক ও হেলপারকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে মানুষ হত্যা ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় বাসচালক ইনসান আলী শানু (৩৮), তার সহকারী (হেলপার) বাদশা মিয়া (৩৫) ও বাসমালিক শরিফা বেগমকে আসামি করে রোববার রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই ছকিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা সবাই গাইবান্ধা জেলার বাসিন্দা। এরআগে রোববার দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে জিয়নের মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাইকেলে করে প্রাইভেট পড়া শেষে ছাত্রাবাসে ফিরছিল জিয়ন। পথে মহানগরীর দর্শনার শুঁটকি আড়তের সামনে পৌঁছালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা ভাইবোন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় তানভীর জিয়ন।
জিয়ন দর্শনার ঘাঘটপাড়া এলাকার মেঘলা ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করত। সে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মন্ডলের হাট গ্রামের লোহানীপাড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের ছেলে।