আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া এখন খুব কঠিন হয়ে গেছে। কারণ আমেরিকায় ডেথ প্যানাল্টি প্রচলিত থাকলেও কানাডায় তা নেই। এজন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে কিভাবে তাদের ফিরিয়ে আনা যায়।
সোমবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তাদের ফিরিয়ে আনতে কত সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন সময় নির্ধারণ করে দিব না। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এটা খুব কঠিন হয়ে গেছে এখন। তবে আমেরিকার জন্য এতটা নয় তবে বেশি কঠিন হয়ে গেছে কানাডায় থাকা খুনিকে ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমরা আলোচনা ও আইনগত পন্থাসহ বেশকিছু পন্থা অবলম্বন করছি। তবে তাদের কাছে থেকে আমরা নেগেটিভ কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। তারা আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর চার খুনিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা যদি এসব তথ্য প্রচার করে দেই তাহলে তাদের অবস্থান তারা পরির্বতন করবে। সেক্ষেত্রে আমরা যে তথ্যের ভিত্তিতে এগুচ্ছি সেই তথ্যের ভিত্তি আর সঠিক থাকবে না। আমি মনে করি, যখন তাদেরকে পরিস্কারভাবে তাদেরকে টিলডাউন করতে পারবো তখনই আপনারা এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে ভাল হয়। এর বাইরে আমি এখন আর কিছু বলতে চাই না।
মন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে বাকী যে দুইজনের কথা বলছেন তাদের মধ্যে একজন আমেরিকায় আছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার আলাপ আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে আদালতের আশ্রয় নিব বলে আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেইভাবে কাজও চলছে। আপনারা জানেন বিএনপি সরকার তাদের ফিরিয়ে আনতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তারা যদি পদক্ষেপ নিত তাহলে এতো বেগ পেতে হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করি। ততদিনে রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থানের জন্য আইনগতভাবে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন। এজন্য আবারও আমাদেরকে নতুন করে আইনি পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আর খুনি নূর চৌধুরীর বিষয়ে যেটা বলেছেন সেটা হচ্ছে কানাডায় একটি আইন আছে সেটা হল যদি কোন দেশে মৃত্যুদণ্ড সাঁজা কার্যকর করা হয় তাহলে সে দেশের কোন আসামিকে তারা ফেরৎ দেন না। সেজন্য আমরা একদিকে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি অপরদিকে সেদেশের সরকারকে আমরা বুঝানোর চেষ্টা করছি যে তার অপরাধ কতটা গুরুতর। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও কাজ করছেন। তারা আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন তাই আমরা আশাবাদি তাকে ফেরত পাওয়ার বিষয়ে যোগ করেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, তবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনতে প্রতিটি পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকেদের যে জানিয়ে এগিয়ে যাব তা নয়। কারণ আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই বিস্তারিত বলতে পারব। এর আগেও হয়ত বলা হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা। তবে কোন সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। ফলে আমরা যখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারব তখই আমরা জনগণকে বলতে পারব।