ঢাকা: রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহতের মামলায় জাবালে নূরের তিন আসামিকে কারাগারে ও জোবায়ের নামের আরেক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার পৃথক দুই মহানগর হাকিম তিন আসামিকে কারাগারে ও অপর একজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।
সাতদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, জাবালে নুর বাসের চালক সোহাগ আলী, হেলপার এনায়েত হোসেন ও রিপন।
অপর আরেক ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী জড়িত থাকা আসামি জোবায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। চালক জোবায়ের আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই সাথে অপর তিন আসামিকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
এরআগে গত ৬ আগস্ট এ চার আসামির ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৩১ জুলাই এ চার আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু ওইদিন মামলার কেস ডকেট (সিডি) না থাকায় আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ ৬ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন আদালত। ওই দিনও জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরআগে গত ৩০ জুলাই রাতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব মারা যায়।
ওই ঘটনায় গত রোববার দিবাগত রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন।