ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ি ইউনিয়নের মহিম চন্দ্র রায় চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যথাযথ নিয়ম না মেনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম সাত্তার ৫ লাখ টাকা মূল্যের ভবন মাত্র ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির (সদ্য মেয়াদোওীর্ণ) সদস্য আব্দুল লতিফ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর ঘটনা তদন্ত করতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পাশাপাশি ভবন ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
তবে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম সাত্তার অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ডিসেম্বর মাসে কমিটির লোকজন লোকজনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং আশপাশের আরো কয়েকটি বিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিত্যক্ত ভবনটি নিলামে বিক্রি করা হয়। কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের আঠারোবাড়ি জমিদার বাড়ির পাশেই অবস্থিত শতবর্ষী মহিমচন্দ্র রায় চৌধুরী (এমসি) উচ্চ বিদ্যালয়টি।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিদ্যালয়ের একটি জরাজীর্ণ ভবন বিক্রি করে দেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভবনটি কিনে নেন আঠারবাড়ি রায়বাজারের বাসিন্দা আঙ্গুর মিয়া। গত ৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ের বেতন আদায়ের রশিদের মাধ্যমে ভবন বিক্রির ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ৯০ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রস্থের ভবনটি বিক্রিতে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি বলে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সদস্য (সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ) আবদুল লতিফ গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগে করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পুরাতন ভবনটির মূল্য ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপনীয়ভাবে ভবনটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে অবৈধভাবে লাভবান হয়েছেন।
এ ব্যাপারে আঠারবাড়ি এমসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটির ক্রেতা আঙ্গুর মিয়া বলেন, উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে তিনি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ভবনটি কিনেছেন। তিনি ভবনটি ভাঙতেও শুরু করার পর প্রশাসন নিষেধাজ্ঞায় কাজ বন্ধ রেখেছি।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন বিক্রির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।