এশিয়ার বৃহত্তম রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও জেলেদের ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে।
রোববার (১৭ মে) রাঙামাটি শহরস্থ বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) অবতরণ ঘাটে পোনা ছেড়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ।
চলতি মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে নিজেদের হ্যাচারিতে ও নার্সারি পুকুরে উৎপাদিত প্রায় ৩০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করবে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ্জোহরা উপমাসহ বিএফডিসির কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বর্তমান বন্ধকালীন বেকার হয়ে পড়া কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল ২২ হাজার জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। পরে চলতি মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে অভিযান চালিয়ে জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
উল্লেখ্য, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, পোনা সংরক্ষণের লক্ষ্যে গত পহেলা মে থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সব ধরনের মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপণনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কাপ্তাই হ্রদের উপর জীবিকা নির্বাহ করা ২২ হাজার জেলে ও শ্রমিক পরিবার সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে এসব পরিবারগুলোকে বিশেষ ভিজিএফ’র আওতায় এনে ২০ কেজি করে চাল প্রদানের ঘোষণা দেওয়া।
গত দুই বছর এই চাল না পেলেও এবছর জেলা প্রশাসনসহ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎপরতায় সরকারের পক্ষ থেকে ২২ হাজার ২৪৯টি জেলে পরিবারের জন্য সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি অর্থবছরে ৮৮৯ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দের মাধ্যমে হ্রদের মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার।