করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালীন সময়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবধরনের গণপরিবহন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতায় বলে আমাদের দেশের গণপরিবহনকে আইন মানানো এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিন বন্ধের কারণে আয় বঞ্চিত থাকায় পরিবহনের মালিক ও শ্রমিক ভাইয়েরা নিদারুণ আর্থিক সংকটে পতিত। ফলে তাদের কাছে বেঁচে থাকায় এখন মুখ্য বিষয়। তাদের পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে পরিবহন পরিচালনা করা কতটুকু সম্ভব তা প্রশ্নবোধক।
অন্যদিকে সড়কে যারা বৈধ-অবৈধ চাঁদাবাজি করেন তারা সক্রিয় হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় সরকারের পক্ষে পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণের জন্য আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অপরদিকে দেশে গণপরিবহনগুলো দৈনিক ইজারা ভিত্তিক চালানোর কারণে মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে স্ব-স্ব গণপরিবহনের শ্রমিকের নিয়ন্ত্রণের পরিবহনগুলো পরিচালিত হয়। এতে দেশের যাত্রী সাধারণ শঙ্কিত যে বাসে বাসে বেশি যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে। তাই করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দিলেই কেবল সড়কে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা সম্ভব। তাই করোনা সংকটকালীন সময়ে গণপরিবহন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে প্রদানের জন্য জোর দাবি জানানো হয়।
যেকোনো সংকটে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালে তা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোনো নজির নেই। দীর্ঘ ছুটিতে দেশের মানুষ এখন এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পতিত, তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান হারে ভাড়া আদায় করে পরিবহন সেবা চালু করতে পারে তার জন্য গণপরিবহন চালুর আগেই তেলের দাম কমিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।