বগুড়ায় করোনা পজিটিভ হওয়ার পর তথ্য গোপন করে জন্ডিসের কবিরাজী চিকিৎসা নেওয়ার সময় এক রোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় স্থানীয় প্রশাসন চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রামের দাড়িয়াপুর গ্রাম থেকে ওই রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, বগুড়ার সারিয়াকান্দির ওই যুবক ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ করেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের আগের দিন তিনি বগুড়া শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার (২৭ মে) তিনি বগুড়ায় নমুনা পরীক্ষা করতে দিয়ে আবার শ্বশুর বাড়িতে যান। রাতে মোবাইল ফোনে জানতে পারেন নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ। এরপর শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে বের করে দেয়া হলে ওই রাতেই তিনি চলে যান নন্দীগ্রাম উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে চাচার বাড়ি। সেখানে গিয়ে জানান তিনি জন্ডিসে আক্রান্ত। চাচার পরিবার তার কথা বিশ্বাস করে পরদিন কবিরাজ ডেকে চিকিৎসা শুরু করে দেন।
শুক্রবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে হাজির হন সেই বাড়িতে। তখন হৈ চৈ পড়ে যায় গ্রামে। সবাই জানতে পারেন করোনা পজিটিভ রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত বলে কবিরাজি চিকিৎসা করাচ্ছেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানকার চারটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ হওয়ায় তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।