ঢাকা: খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন। ছাড়ার কথা সকাল ৬টা ২০ মিনিটে। কিন্তু ট্রেনটি ঢাকায় আসে সাড়ে ৮টায়। তারপর আবার ছাড়ার প্রস্তুতি। সব মিলে প্রায় দুই ঘণ্টা লেট। একই অবস্থা নীলসাগর, কর্ণফুলী, দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, রংপুর এক্সপ্রেস ও একতা এক্সপ্রেসের।
রোববার (১৯ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশনে প্লাটফর্ম ভর্তি মানুষ। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার খবর নেই।
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ট্রেন না আসলে তো ছাড়ার উপায় নেই। ট্রেনগুলো বেশিরভাগ স্টেশনে যাত্রীচাপে দীর্ঘসময় থামতে হচ্ছে। যে কারণে ঢাকায় নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারছে না।
৭ নাম্বার প্লাটফর্মে রেহানা আক্তার সন্তানদের নিয়ে বসে আছেন। বার্তা২৪.কমকে বলেন, '৬টা ২০এর ট্রেন ধরতে সাড়ে ৫টায় স্টেশনে আসি। ট্রেনটি সাড়ে ৮টায় মাত্র আসলো। আবার কখন ছাড়বে? বুঝতেছি না।
স্টেশন তথ্যকেন্দ্রে থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সাড়ে ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও দেড়ঘন্টা দেরিতে ছাড়বে।
দিনাজপুর গামী একতা এক্সপ্রেস আসতে দেরি করছে বলে দেড়ঘন্টা দেরিতে ছাড়বে। রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় একঘন্টা দেরিতে ছাড়বে।
দেরিতে ছাড়া আরও ট্রেনের মধ্যে রয়েছে , দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল, তিতাস, অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস।
স্টেশন সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চল বাদে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। রেলের প্রস্তুতি স্বত্বেও সময় ঠিক রাখা যাচ্ছে না। অন্যদিকে যাত্রীচাপ ক্রমে বাড়ছে। বিকেলের দিকে সর্বোচ্চ যাত্রী চাপ পড়বে ট্রেনে। একই অবস্থা হবে সোমবারও।
ঈদের ঠিক দুদিন আগে বরাবরের মতো এমন যাত্রী চাপ পড়ে বলে জানিয়েছেন সিতাংশু চক্রবর্তী।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার কোরবানির ঈদের চার দিন আগে থেকে ঈদের সাত দিন পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে দুটি করে, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটে এসব ট্রেন চলবে। এ ছাড়া ভৈরব-কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে ঈদের দিন চলবে 'শোলাকিয়া স্পেশাল'