রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে প্রথমবারের মতো লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছের পোনা ছাড়ছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) অতিরিক্ত এই পোনা লংগদু উপজেলাস্থ কাপ্তাই হ্রদে আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদীন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নবআলো চাকমা, বিএফডিসি উপজেলা ব্যবস্থাপক মোঃ আকবর হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আগামী দুই-তিন দিন পর্যায়ক্রমে এই পোনা অবমুক্ত করবে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, চলতি প্রজনন মৌসুমে সরকারি সিদ্ধান্তনুসারে ৩০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা হ্রদে অবমুক্ত করার কথা ছিলো। গত এক মাসে হ্রদের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৩১ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। যার সবগুলো পোনা বিএফডিসির নিজস্ব হ্যাচারিতে রেনুর মাধ্যমে উৎপাদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরো ১০ টনেরও অধিক পোনা মাছ মজুদ থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে সেগুলোও হ্রদে অবমুক্তকরণ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক মূল্যে কার্প জাতীয় মাছের পোনা ক্রয় করে রাঙামাটিতে এনে কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করতো বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্রায় সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পোনা পরিবহনের সময়ই মারা যেত। এছাড়াও হ্রদে অবমুক্ত করার পরেও হাজার হাজার পোনা মাছ মরে ভেসে উঠতো। গত তিন বছর আগে নৌ-বাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা কমান্ডার আসাদুজ্জামান-বিএন(পিএসসি) প্রেষণে রাঙামাটিস্থ বিএফডিসিতে যোগদান করেই লংগদু’র মারিশ্যাচরে স্থাপিত অকার্যকর থাকা একমাত্র হ্যাচারিটিকে সচল করেন। এবং হ্যাচারিতে নিজস্ব ভাবে উৎপাদিত পোনা মাছ গত দুই বছর ধরে কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করে আসছে রাঙামাটির বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির রাঙামাটির কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কাপ্তাই হ্রদ থেকে জেলেদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা মা মাছ থেকে সংগৃহীত ডিম ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে রেণু তৈরি এবং সেগুলো দিয়ে শতভাগ সুস্থ পোনা উৎপাদন করছে বিএফডিসি।