ঢাকা: সকাল ৬ টায় দিনের প্রথম ট্রেন ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস। ট্রেনের হাজার যাত্রী যখন স্টেশনের প্লাটফর্মে তখনও ট্রেনের খোঁজ নেই। ট্রেনটি ঢাকায় আসতে আরও ৫ ঘন্টা লাগবে। এরপর ছাড়ার প্রস্তুতি নেবে। সকালের আরেকটি ট্রেন খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসও ঢাকায় আসতে ৩ ঘণ্টা বিলম্ব।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) ঈদ যাত্রার শেষ দিনে টানা চতুর্থ দিনের মতো উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ট্রেন ২ থেকে ৬ ঘন্টা দেরিতে ছাড়বে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। এবার রেলের শিডিউলে বিপর্যয় শুরু হয়েছিলো ঈদ যাত্রার শুরুর দিন থেকেই। ঈদ কাছাকাছি যখন আসছিলো তখন শিডিউল বিপর্যয় আরও বেড়ে গেছে।
রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, ‘মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ট্রেনে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে কয়েকটি ট্রেন বিলম্ব করছে’।
তবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের তথ্য কেন্দ্রের হিসেবে, সারাদেশে ৩১টি আন্তনগরসহ ঈদ স্পেশাল সার্ভিস ট্রেন গুলোর বেশিরভাগই দেরিতে ছাড়ছে। কেবল চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ট্রেন ঠিক সময়ে যেতে পারছে।
এদিকে প্রতি বছরের মত ট্রেনের ছাদেও ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথ ধরেছে অসংখ্য মানুষ। উত্তরাঞ্চলের ট্রেন লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, ধুমকেতু ও নীলসাগরে সবচেয়ে যাত্রী ছাদে উঠতে দেখা যাচ্ছে।
প্রতিদিন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৩১ টি আন্তনগর সহ ৭০টি ট্রেন ছেড়ে যায়। ঈদে ট্রেনগুলোতে বাড়তি কোচ সংযোগজন করা হয়েছে। তারপরও সিট না পেয়ে অনেকে ছাদে দরজায় বাফারে উঠে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।