সিরাজগঞ্জ থেকে: ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী হানিফ পরিবহনের বাসে উঠেছিলাম সোমবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটায়। ১৪ ঘণ্টার জার্নি শেষে বাস পৌঁছেছে সিরাজগঞ্জের সালঙ্গায়।
পথে পথে সড়ক দুর্ঘটনা, বাসের বিকল হওয়া, মানুষের মৃত্যু, মুষলধারে বৃষ্টি মানুষের ঈদযাত্রাকে করে তুলেছে দুঃসহ। বিশেষ করে খোলা ট্রাকের ছাদে ভ্রমণকারী নিম্ন বিত্ত মানুষের ঈদযাত্রা হয়ে উঠেছে অসহনীয়।
ট্রাকের ছাদে অনেক, নারী, শিশুকে অসুস্থ হতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ট্রাকের ছাদে থাকা কয়েকজন নারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ট্রাকের ছাদে উঠেছি। সারারাত বৃষ্টি মাথার উপর দিয়ে গেছে। জানিনা বাড়ি পৌঁছাতে আরো কতক্ষণ লাগবে।
ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হতে সকাল হয়। পথে পথে তীব্র জ্যামের কারণে মানুষ কয়েকদফা গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে টাঙ্গাইলে কালিহাতিতে থাকার সময় ফজরের আজান হয়। গাড়ি তখন জ্যামে আটকে আছে। অনেক মানুষ তখন বাস থেকে নেমে গিয়ে রাস্তার পাশের বাড়িতে গিয়ে নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আসে। দীর্ঘ সময় পর বাস অাবারো চলা শুরু করে। ধীরে ধীরে চলতে চলতে বাস একসময় সিরাজগঞ্জ মোড় পেরিয়ে যায়।
কিন্তু সালঙ্গায় গিয়ে বাস অাবারো জ্যামে অাটকে যায়। সকাল সাড়ে অাটটায় সড়ক দুর্ঘটনা সালঙ্গা এলাকায় কয়েক কিলোমিটার যানজটের কারণ। বাস, ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন স্পট ডেড ও আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। সড়কের দুই পাশে কয়েক হাজার গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
এদিকে দীর্ঘ যানজট থাকায় সড়কের পাশে চা দোকান, টং হোটেলের ব্যবসা দারুণ জমে উঠেছে। পরোটা সবজি ৫০ টাকা, চা ১০ টাকা, সিগারেট ১৫ টাকায় প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা।
স্থানীয় চা দোকানদার মোখলেসুর রহমান বলেন, ঈদের সিজনটাই আমাদের ব্যবসার সময়। তাই দাম একটু বেশি রাখা হয়।
এ প্রতিবেদন লিখতে লিখতে বাসের চাকা আবার ঘুরছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় গাড়িতে উঠে কেবলমাত্র অর্ধেক পথ পেরিয়েছি। দেখা যাক সামনে অারো কী অপেক্ষায় আছে।