প্রতিপক্ষকে খুন করতে গিয়ে তারই রামদা কেড়ে নিয়ে খুন করা হয় বগুড়া শহরের সন্ত্রাসী শাকিলকে (৩০)। শাকিল খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুইজনের জবানবন্দিতে এমনিই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের আকাশতারা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
শাকিল খুনের ঘটনায় তার বাবা শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মানিকসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে আল-আমিন ও রাফী নামের দুইজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
নিহত শাকিল ওই এলাকায় জুয়ার আসর ও বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির এক কর্মকর্তার সাথে তার সখ্যতা থাকায় জুয়ার আসর থেকে বিট মানি (চাঁদা) উঠাতো শাকিল।
জুয়ার বোর্ড থেকে আদায় করা টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন করা হয় শাকিলকে। এর আগে শাকিল তার প্রতিপক্ষদের খুন করতে একটি রামদা নিয়ে আকাশ তারা এলাকায় যায়। সেখানে শাকিল রামদা হাতে নিয়ে সুলতানের ছেলে শাওনকে খুঁজতে থাকে। এসময় শাওনের মা মলিকে পেয়ে মারধর শুরু করে শাকিল। এদৃশ্য দেখে মলির স্বামী-ছেলে ও অপর আসামিরা এসে ঘিরে ধরে শাকিলকে। এসময় তার এক সহযোগী মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শাকিলের রামদা কেড়ে নিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শাকিল রামদা নিয়ে খুন করতে গিয়েছিল তার প্রতিপক্ষকে। কিন্তু তার রামদা কেড়ে নিয়ে তাকেই খুন করা হয়। তদন্তে এ ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।