দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুর নিজ বাসায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ জুন) সকালে মারা গেছেন। পরবর্তীতে তার স্ত্রীর অনুরোধে বিনা ময়নাতদন্তে পুলিশ লাশ হস্তান্তর করে পরিবারের কাছে।
তার আগে বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত রান্নাঘর ধারণা করা হলেও, তুলনামূলকভাবে রান্নাঘরের চেয়ে বেডরুম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতটি পুলিশের কাছে অস্পষ্ট থেকে যায়।
সূত্র বলছে, অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর নিজে বাথরুমে গিয়ে ঝরণা ছেড়ে দিয়েছিলেন দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সাংবাদিক নান্নু। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠায়। এসব ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত শর্ট সার্কিট নয় রান্নাঘর, সেসব বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) ভোরে রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরের ৩ নম্বর রোডের বি ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর নিজ বাসায় হঠাৎ আগুন লাগে। দ্রুতই আগুন নির্বাপন করা হলেও দগ্ধ হন সাংবাদিক নান্নু। ওইদিন গুরুতর অবস্থায় তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার (১৩ জুন) সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, তার শরীর গভীরভাবে দগ্ধ হয়েছিল। প্রায় ৬০ শতাংশের মতো পুড়ে গিয়েছিল তার শরীর।