গণস্বাস্থ্যে ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে এন্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। শরীর খুবই দুর্বল। নিয়মিত কিডনি ডাইলোসিস করছেন।
অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না তবে গলার ব্যথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তাই ইশারায় আর লিখে তিনি কথার উত্তর দেন। চিকিৎসকগণ তাঁকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) জাফরুল্লাহর চিকিৎসায় নিয়োজিত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের বরাত দিয়ে এসব জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
মিন্টু বলেন, তাঁর (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) শরীরে করোনা ভাইরাস ইনফেকশন নাই তবে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন অনেক বেশি। তাঁকে আরো বেশ কিছুদিন দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে তিনি মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শনিবার (১৩ জুন) দিনগত ১২টা ২০ মিনিটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনামুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে লেখা হয়েছে, আল্লাহর রহমতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা এন্টিজেন নেগেটিভ এবং এন্টিবডি ফর কোভিড ১৯ পজিটিভ । আমরা উনার "GR COVID-19 Rapid Dot Blot IgG" পরীক্ষাও করেছি। উনি সেখানেও পজিটিভ অর্থাৎ উনার সিরোকনভার্সান হয়েছে। উনার সকল পরীক্ষা উনার নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক উদ্ভাবিত Rapid Testing Kit দিয়ে করা হয়েছে। উনি বর্তমানে কোভিড নেগেটিভ নিউমোনিয়াতে ভুগছেন। বাড়তি অক্সিজেন ছাড়াই তিনি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৫ শতাংশ রাখতে পেরেছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।