গাইবান্ধার নদী বেষ্টিত উপজেলা সুন্দরগঞ্জ। উপজেলাটির বুক চিরে বয়ে গেছে তিস্তা-যমুনা নদী ও তার শাখা-প্রশাখা।
তিস্তার শাখা নদীর উপরে ব্রিজ না থাকায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণকাজ শুরু করেন এলাকাবাসী। বর্তমানে সেই কাজও অর্থাভাবে আটকে রয়েছে।
বুধবার (১৭ জুন) বিকেলে সরজমিনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর ধুমাইটারী ও তালুক বেলকা এলাকার তিস্তার শাখা নদীতে দেখা যায় অসমাপ্ত বাঁশের সাঁকোটি।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার দহকন্দ ও বেলকা ইউনিয়নের হাজারো মানুষকে নদী পার হয়ে জেলা শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করেন এলাকাবাসী। চলাচলের সহজ উপায় না থাকায় রোগী পরিবহনে দুর্ভোগেরও শিকার হচ্ছেন স্বজনরা। এমনকি স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হচ্ছে।
বিভিন্ন সময়ে ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসলেও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সেই দাবি পূরণ হয়নি।
সম্প্রতি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু করেন এলাকাবাসী। সাঁকোটির প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার পর অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণকাজ।
স্থানীয় বাসিন্দা নজির হোসেন জানান, ধুমাইটারী ও তালুক বেলকা এলাকার তিস্তার শাখা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়া চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুধু দুর্ভোগই নয়, যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে চলতে হয়।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জের বেলকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিলুল্যাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদ সভায় একাধিকবার প্রস্তাব করা হয়েছে। দ্রুতই যেন ব্রিজ নির্মাণ হয় সেই চেষ্টা শতভাগ রয়েছে।