ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পৌরসভা এলাকার চার ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগের ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক।
গত (১৭ জুন) কসবায় বিত্তশালীরা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপহার! এই শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার(১৮ জুন) কসবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।
এ বিষয়ে কসবা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, কসবার পৌরসভার চারটি ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছার টাকা বিতরণের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগের ঘটনায় তদন্তের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আগামী রোববার (২১) আমার কার্যালয়ে আসবে। আর চিঠির পাওয়ার পর পর এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করছি। সত্যতার প্রমাণ পেলে আমরা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পৌরসভা এলাকার চার ওয়ার্ডে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপহারের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। চার ওয়ার্ডের তালিকায় ২০ শতাংশের কম দুঃস্থদের নাম ঠাঁই পেয়েছে। তালিকায় স্থান পাওয়া বাকিরা সব সচ্ছল। আর এই অনিয়মে কসবা পৌরসভার চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলররা হলেন, ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক ছোটন, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবু ছায়েদ ও ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল সরকার।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর এ সংক্রান্ত চারটি অভিযোগপত্র কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে দাখিল করা হয়।