রংপুরে একটি ভাড়া বাসা থেকে জাকির হোসেন (২৭) নামে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবক র্যাব-১৩ এর গোয়েন্দা শাখার সদস্য।
শনিবার (২০ জুন) সকালে এগারোটার দিকে নগরীর কলেজ রোড হাবিবনগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জাকির হোসেন জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার মূলগ্রামের রফিকুল আলমের ছেলে। তিনি প্রায় ছয় মাস থেকে রংপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা বলছে, স্ত্রীর সাথে অভিমান ও হতাশা থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জাকির হোসেন। আত্মহত্যার আগে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে মেসেজ দেয়ার পাশাপাশি তিনি নিজের ডায়েরিতে বেশ কিছু কথাবার্তা লিখেছেন।
পুলিশ জানায়, প্রায় ছয় মাস ধরে জাকির হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে কলেজ রোড হাবিবনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গতকাল শুক্রবার (১৯ জুন) সন্ধ্যার দিকে জাকিরের সাথে তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় তার মামা শ্বশুর বাসায় এসে জাকির হোসেনের স্ত্রীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যান। স্ত্রী বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর জাকির মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে হতাশা থেকে রাতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে ওই বাসার মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের সকালে জাকির হোসেন বাসা থেকে বের হবার সময় কথাবার্তা বলেন। কিন্তু আজ সকালে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে এবং ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা এসে বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় জাকিরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
জাকিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ডায়েরিসহ আরও কিছু মালামাল আলামত হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলেও ওসি জানান।