বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ সময়কালীন সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করেই গত ১ জুন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, যশোর ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নির্দেশনা অনুযায়ী তিন ঘণ্টার অধিক সময় ব্যয় করে প্রতিদিন এয়ারক্রাফটগুলোকে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এছাড়া প্রতিটি ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে ধারাবাকিহভাবে জীবাণুমুক্ত করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়। শুধুমাত্র এয়ারক্রাফট নয় র্যাম্পকোচ, চেক-ইন কাউন্টার, যাত্রীদের লাগেজ এমনকি পরিধেয় জুতাও প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত করা হয়।
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেক যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় অন্তত দু’বার, যা চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং কার্ড ইস্যূ করার পূর্ব মুহূর্তে এবং এয়ারক্রাফটের প্রবেশমূখে। ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের অধিক তাপমাত্রা শরীরে থাকলে বোর্ডিং পাশ ইস্যূ না করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীদের বিমানবন্দরে টার্মিনালের প্রবেশমুখে ইউএস-বাংলার বুথ থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক ও গ্লভস্ দেয়া হয়। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে সকল সম্ভাব্য স্থানে স্যানিটাইজিং করার ব্যবস্থা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের মতো কেবিন ক্রু ও পাইলটসহ সকল এয়ারলাইন্স কর্মী মাস্ক, হ্যান্ড গ্লভস, আই প্রটেক্টরসহ পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যূইপমেন্ট (পিপিই) পরিধান করে থাকে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীদের আসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করছে ইউএস-বাংলা। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ রুটে ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও ড্যাশ ৮-কিউ ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে মোট তেরটি এয়ারক্রাফট রয়েছে। যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৬টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৩টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভ্রমণকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আস্থা রাখুন ইউএস-বাংলায়।