রংপুর নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাইয়ের (নেসকো) প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনবিষয়ক মতবিনিময় সভার প্রেজেন্টেশনে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করার ঘটনায় বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসির (নেসকো) তিন কর্মকর্তাকে বদলী করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের বদলির আদেশ জারি করে চিঠি ইস্যু করেন নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের উপ-মহাব্যবস্থাপক রহম উল্লাহ আল ফারুক।

জারিকৃত আদেশে নেসকো রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের নেসকোর আওতাধীন এলাকায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুল আলম চৌধুরীকে ইঞ্জিনিয়ারিং দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক, প্রকল্প বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়েদুল মুরসালিনকে নওগাঁ, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইয়াকুব আলীকে পাবনার ইশ্বরদীতে বদলির কথা বলা হয়।

জারিকৃত চিঠিতে বলা হয়, ১৪ জানুয়ারি বর্তমান দপ্তর থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। তা না হলে ১৫ জানুয়ারি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত বা স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য করা হবে।

উল্লেখ্য, ১৪ জানুয়ারি রংপুর ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন বিষয়ক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল নেসকো। কর্মসূচিতে নেসকোর প্রেজেন্টেশন দিচ্ছিলেন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইয়েদুল মুরসালিন। চলমান প্রেজেন্টেশনে স্ক্রিনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত মুজিববর্ষের লোগো আসে প্রেজেন্টশনে। সাথে সাথেই ল্যাপটপ এবং এলইডি স্ক্রিন বন্ধ করে দেয় আয়োজকরা। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল।

সভায় উপস্থিত জাতীয় নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্প বাতিলের সাথে যুক্ত আন্দোলনের নেতারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনাকে পরিবকল্পিতভাবে ফ্যাসিবাদ পূণর্বাসনের নকশা হিসেবে উল্লেখ করেন। এই ঘটনার দ্রুত জড়িতদের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

পরে সভার সভাপতি ডিসি মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল ঘোষণা দেন এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার এবং প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরে সভা পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের লিখিত চিঠি পাঠান। নেসকো চিঠি পেয়ে তদন্ত কমিটি করে। এরপরই নেয়া হলো ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে রংপুরের ডিসি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল জানান, প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন বিষয়ক মতিবিনময় প্রেজেন্টেশনে মুজিব বর্ষের ছবি ব্যবহারের বিষয়টি ছিল পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যমূলক। তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই নেসকো এই উদ্যোগ নিয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে কেউ ধরণের ঘটনার সাথে যুক্ত হলে থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি রাখাকে কেন্দ্র করে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট দেওয়া পোস্টে এই তথ্য জানান তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইতোমধ্যে, দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য যারা জড়িত, তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত হবে। আর, রাজপথে কারো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর চলতে দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, দুপুরে মতিঝিলের মেট্রো স্টেশনের নিচে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামক একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আসা লোকজন এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বান্দরবানের লামার সরই ইউনিয়ন থেকে অপহৃত ৭ শ্রমিককে ১৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের গভীর জঙ্গলে ফেলে চলে যায়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বমু খালের দুর্গম এলাকা থেকে তাদেরকে যৌথবাহিনী উদ্ধার করে।

ক্যজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা হলেন, খামার মালিক মো. আমিন (৩৫), খামার মালিকের ছেলে মো.সাকিব (১৪), শ্রমিক আলেক্স জোহার (৩৫), মো. শফি আলম (৩২), মো জাবেদ (২৬), আসাদ (১৮), মো. আবু হানিফ (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বমু খালের তীরবর্তী এলাকায় সবজি ক্ষেত-খামারে কাজ করতে পার্শ্ববর্তী জেলার লোহাগাড়া, চকরিয়া, মানিকপুরসহ কয়েকটি এলাকা থেকে আসেন শ্রমিকরা। বুধবার মধ্যরাতে সেখান থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় ৭ শ্রমিককে। অপহৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ফোন করে জনপ্রতি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সকাল থেকেই দুর্গম এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে।

পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান বলেন, অপহৃতদের উদ্ধারে সকাল থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের বমুখালের পাশে গভীর জঙ্গলে ফেলে চলে যায়। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকরা সুস্থ আছেন, তবে তারা খুবই ক্লান্ত। শ্রমিকদের তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে হটাৎ ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে ট্রেনের ইঞ্জিনে প্রচুর ধোঁয়া উঠে। এ ঘটনা ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ট্রেন ও স্টেশনের কর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে ধোঁয়াা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ায় কোন ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সোয় নয়টার দিকে ঢাকা -ময়মনসিংহ রেললাইনের গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) দিপীল কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় পৌছলে ব্রেক করার সময় ট্রেন চালক হটাৎ ইঞ্জিনে প্রচুর আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান । ধোঁয়া চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

তাৎক্ষণিকভাবের রেলওয়ের স্টেশনের কর্মীরা, ট্রেনের চালক, পরিচালক (গার্ড) ট্রেন থেকে নেমে ট্রেনে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে নেয়।

তিনি আরও বলেন ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের গাড়ীর পাওয়ার বন্ধ করে দিলে যাত্রীদের মধ্যে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এসময় তারা হুড়াহুড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে। ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে আসলে পনের মিনিট পর ট্রেনটি ময়মনসিংহের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।