বহুবিধ সংকটের মধ্যে দিয়ে দেশে করোনাভাইরাস চিকিৎসা চলছে। আর যেখানে টেস্ট করাতে ও ফলাফল পেতে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই, সেখানে এই অব্যবস্থাপনা দূর না করে হঠাৎ করে সাধারণ রোগীদের করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণ করলেন সরকার যা ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার ফি গ্রহণের নির্দেশনা বাতিল করে যাবতীয় জঠিলতা দূর করে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সংকটকালীন সময়ে জরুরি এই চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম শাখা।
শনিবার (৪ জলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারির এই কঠিন দুর্যোগে একদিকে মানুষ কর্মহীন, আয় রোজগার হারিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হিমশিম অবস্থা। সেখানে টেস্টের পরীক্ষার ফি সাধারণ রোগীদের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। সরকার একদিকে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের জন্য ৮-১০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর সংকটকালীন সময়ে রাষ্ট্র নাগরিকদের বিপদে পাশে না থেকে উল্টো করোনা পরীক্ষা ফি নির্ধারণ করে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ফি নির্ধারণ শুধু অমানবিক নয়, অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, রাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্য পৃথক চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হলেও সাধারণ রোগীদের ভাগ্য সেই জরাজীর্ণ সরকারি হাসপাতাল ছাড়া কিছুই নাই। সেখানে আবার ভিআইপি, ভিভিআইপি নামে সব সুবিধাগুলো ওপরতলার মানুষরা দখল করছে। চিকিৎসা সর্বজনীন না হলে এ অবস্থার পরিত্রাণ নেই।
বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনার মহামারিকালে সরকার প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দিনে ২০ ঘণ্টা পরিশ্রম করে সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাগবে অবিরাম পরিশ্রম করছেন। আর সেখানে সরকারের একশ্রেণির কর্মকর্তারা নানা ফর্মুলা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়াতে নানা ফন্দি ফিকির করছেন, যা প্রধানমন্ত্রীর কঠিন পরিশ্রম ও ত্যাগকে ম্লান করার জন্য নীল নকশা কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।