ব্যবসার হিসাব চাওয়ায় মালিককে হত্যা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ | 2023-08-25 15:54:13

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মোটর পার্টস ব্যবসায়ী হেকমত আলী হত্যার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম সবুজ দায় স্বীকার করেছে। ইতিমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন। সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের হত্যার কারণ ও বর্ণনা তুলে ধরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সম্মেলনে পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ হোসেন জানান, নিহত হেকমত আলী বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করতেন। ঐ দোকানে আসামি রফিকুল বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় আরেকটি দোকান খুলে তাতে রফিকুলকে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে ব্যবসা বড় করার জন্য আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে রফিকুলকে ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করেন হেকমত আলী। এর পর থেকেই ব্যবসায়ীক লাভ ক্ষতি নিয়ে উভয়ের বিরোধ শুরু হয়।

আলিফ হোসেন আরও জানান, বিরোধের এক পর্যায় হেকমতের কন্যা হাফসাকে (৯) কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয় রফিকুলের নিকট। কিন্তু হাফসা নাবালিকা হওয়ায় সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় রফিকুল। এর পরেই হেকমত তার ব্যবসার সমস্ত হিসেব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য রফিকুলকে চাপ প্রয়োগ করে।

ঘটনার দিন ৪ এপ্রিল সকালে রফিকুল তার বাড়িতে হেকমত আলীকে ডেকে নিয়ে যায়। সকালের খাবার শেষ করে হেকমতের চোখে ঘুম চলে আসলে পূর্ব পরিকল্পনা মত গামছার সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে হেকমত আলীকে হত্যা করে। পরবর্তীতে লাশ গুমের জন্য খালি স্টিলের বড় ড্রামে হেকমতের হাত পা বেঁধে ড্রামে রেখে তাতে সিমেন্ট পরিপূর্ণ করে দেয়। পরদিন সকালে একটি নছিমন গাড়িতে ড্রামটি নিয়ে উপজেলার কুশাব এলাকায় মাছের ঘেরে ফেলে দেয়।

নিখোঁজের ১০ দিন পর ১৪ এপ্রিল হেকমত আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন, ঐ মামলার পরের দিনেই পুলিশ রফিকুলকে গ্রেফতার করে। মামলার বিস্তর তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হলে পিবিআই ২৯ জুন আসামিকে রিমান্ডে আনে এবং ২ জুলাই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হেকমতের মরদেহ উদ্ধার করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আবু সায়েম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর