কবর থেকে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের শিশুর মরদেহ উত্তোলন, নিন্দা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 04:02:56

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কবর থেকে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের শিশুর মরদেহ তুলে ফেলার পৈশাচিক ঘটনার নিন্দা করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি মানবাধিকার নেতা বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি লেখক, চলচ্চিত্রনির্মাতা শাহরিয়ার কবির।

শনিবার (১১ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেন,‘আজ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দাফনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের এক শিশুর মরদেহ কবর থেকে তুলে ফেলার সংবাদ আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত, উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ করেছে। আমরা এই পৈশাচিক অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।

‘আমরা দীর্ঘকাল ধরে লক্ষ্য করছি ’৭১ এর গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের প্রধান দল জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের উগ্র মৌলবাদী সহযোগীরা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদির হত্যা ও সন্ত্রাসের দর্শন বাস্তবায়নের জন্য আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বার বার হামলা চালাচ্ছে, তাদের হত্যা করছে, ঘরবাড়ি ও মসজিদ ধ্বংস করছে; অথচ এসব নৃশংস অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কখনও কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং দেশের ভেতর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সহ নাগরিকদের বিভিন্ন ফোরাম থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপনের পরও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। যার ফলে মওদুদিবাদী, ধর্মব্যবসায়ী, মৌলবাদী দুর্বৃত্তরা করোনাকালের এই ঘোর দুর্দিনে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের একজন হওয়ার কারণে কবর থেকে শিশুর মরদেহ তুলে ফেলার মতো ভয়ঙ্কর পৈশাচিক কাণ্ড করতে উৎসাহী হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন এই ঘৃণ্য অপরাধীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে যেভাবে তথাকথিত সালিশের নামে অপরাধের ঘটনা চাপা দিয়ে অপরাধীদের শাস্তিপ্রদান এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে তা মানবাধিকারের গুরুতর লংঘন এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী।

‘আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায় এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সংবিধানপ্রদত্ত সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতা ও অবহেলার বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে এ ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর