বগুড়ার সোনাতলা থানায় অফিসার ইনচার্জের (ওসি) সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আটক হয়েছেন সাবেক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) পাঁচজন। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ৭ লাখ টাকা, নির্বাচনী পোস্টার ও হ্যান্ডবিল। এছাড়া তাদের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়।
রোববার (১২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় সোনাতলা থানা অভ্যন্তর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটক সাবেক এএসপি ইন্তাজ রহমান বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক মার্কা) ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজের বাবা। আটককৃত বাকিরা হলেন প্রার্থীর কর্মী রোহান ফয়সাল, ফারদিন বিন রশিদ, সেক্সপিয়ার ও মাইক্রোবাস চালক জামাল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ২ টার দিকে সোনাতলা পৌর এলাকার ইশিতা ক্লিনিকের সামনে সন্দেহজনক ঘোরা ফেরার সময় একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয়। ওই মাইক্রোবাস তল্লাশি করে নগদ ৭ লাখ টাকা পাওয়া যায়। এ সময় মাইক্রোবাসের যাত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাবাসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃতরা নগদ টাকার ব্যাপারে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘তার বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা এবং সোনাতলা থানার ওসি তার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় দেখা করার থানায় যান। কিন্তু ওসি থানায় না থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে থাকেন বাবা। এমন সময় নৌকা মার্কার কয়েকজন কর্মী থানা অভ্যন্তরে এসে মাইক্রোবাস তল্লাশি করে টাকা উদ্ধার করেন। এ সময় ওসি থানায় আসেন এবং ৫ জনকে আটক করেন।’
তিনি আরও বলেন ‘বগুড়া শহরে বেশ কিছু এলাকা রেডজোন ঘোষণা থাকায় বার বার শহরে যাতায়াত সমস্যা। এ কারণে নির্বাচনীসহ অন্যান্য খরচের জন্য বগুড়া শহরে বসবাসকারী তার চাচার কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। সেই টাকা মাইক্রোবাসে রাখা ছিল।’
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আর মাসউদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আটককৃতদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।’