ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের চুক্তির আওতায় ভারতের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটিতে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে ‘এমভি সেঁজুতি’ জাহাজে চালানটি বন্দর জেটিতে পৌঁছায়। জাহাজটি নিউমুরিং টার্মিনালে পৌঁছানোর পর বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে পণ্য খালাস করা শুরু হয়।
বাংলাদেশি এই জাহাজে পণ্যবাহী ১৬০ একক কনটেইনার রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভারতের পণ্যবাহী। বাকি ১৫৬টিতে করে পণ্য আমদানি করেছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা। জাহাজটিতে ১৪০ একক খালি কনটেইনার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার শ্যামপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরে এই চার কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয়। এরপর জাহাজটি বাংলাদেশি আমদানিকারকদের পণ্য নিয়ে হলদিয়া বন্দরেও কনটেইনার বোঝাই করে। গত রোববার রাতে হলদিয়া থেকে রওনা হয় জাহাজটি। মঙ্গলবার বন্দরে পৌঁছায়।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ট্রানজিট পণ্য হিসেবেই বন্দর চার কনটেইনার পণ্য নামানোর কার্যক্রম সম্পাদন করছে। নিয়মানুযায়ী, চার দিন বন্দরে বিনা ভাড়ায় এই কনটেইনার রাখা যাবে। এর বেশি হলে বন্দরের স্বাভাবিক মাশুল আরোপ হবে।
চার কনটেইনারের দুটিতে রয়েছে ইস্পাতপণ্য ‘টিএমটি বার’ এবং অপর দুটিতে রয়েছে ডাল। আগরতলা থেকে খালাসের পর ইস্পাতপণ্যের চালান নেওয়া হবে পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়ায়। চালানটি ভারতের এস এম করপোরেশনের। অন্যদিকে, আগরতলায় খালাস করে ডালের চালান ভারতীয় ট্রাকে করে আসামের করিমগঞ্জে জেইন ট্রেডার্সের কাছে নেওয়া হবে।
এনসিটির দায়িত্বে থাকা দেশের শীর্ষ টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রহুল আমিন বলেন, আজকে বাংলাদেশ ভারতের জন্য দিনটি ঐতিহাসিক। দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত একটি চুক্তির সফল বাস্তবায়ন হলো। ব্যবসা ক্ষেত্রে ভারত–বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হবে। দুই দেশের পণ্য পরিবহনে খরচ কমে যাবে। ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোয় পণ্য সরবরাহ করতে দুই দেশের সচিবপর্যায়ে চুক্তি হয়। এক বছর পর ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে এ-সংক্রান্ত পরিচালন পদ্ধতির মান বা এসওপি স্বাক্ষর করেন।