ক্রমান্বয়ে আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। দীর্ঘ এক মাস ধরে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার প্রায় ৯ উপজেলার ৬০টি ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি জীবন যাপন করছেন।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখনো ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৩ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে ৭৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন চরাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষেরা।
প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা না মেলায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন তারা। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে ও দীর্ঘদিন পানির মধ্যে বসবাস করায় মানুষজন আক্রান্ত হচ্ছেন পানি বাহিত নানা রোগে। দিনে দিনে তীব্র হয়ে উঠছে গো-খাদ্যের সংকট। দুর্ভোগ বেড়েছে উঁচু বাঁধ ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া বানভাসি মানুষদেরও। পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলের অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে রয়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত ১ মাসে পানিতে ডুবে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১৬ জনই শিশু।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বার্তা২৪.কম-কে জানান, জেলার নয় উপজেলার বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য এই পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪৫ লাখ টাকা, ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ভিজিএফ বাবদ চার হাজার ২৮৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ঈদের আগেই ৪ লক্ষাধিক পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে বিতরণ করা হবে।